আলহামদু লিল্লাহ গত ৭ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি. মেতাবেক ১৫ রমযান ১৪৪ হি. প্রথমবারের মতো আর-রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন ও দাতা সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর-রহমান ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘আজীবন সদস্য’ ও ‘দাতা সদস্য’ নামে দুই ধরনের সদস্য রয়েছেন। ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাদকায়ে জারিয়াহমূলক প্রকল্পে এককালীন এক লক্ষ টাকা দান করে আজীবন সদস্য এবং ৫০ হাজার টাকা দান করে দাতা সদস্য হওয়া যায়। ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজন অনুযায়ী আজীবন ও দাতা সদস্যদের পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং সময়ে সময়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। আজীবন ও দাতা সদস্যগণ আমৃত্যু সদস্য থাকবেন।
বাড্ডার সাতারকুলে অবস্থিত মাদরাসাতুস সুন্নাহ সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলী ও আজীবন ও দাতা সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ হামদ-নাত ও ফাউন্ডেশনের থিমসং পরিবেশেন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা-পর্বের সূচনা হয়। আলোচনা-পর্বের মাঝখানে আর-রহমান ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। একটি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত কার্যক্রম সম্পর্কে, আরেকটি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আর-রহমান স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে।
অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ যাবৎকালের কার্যক্রম সম্পর্কে বর্ণনা দেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এভাবে ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার আহ্বান জানান। বিশেষভাবে তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘আর-রহমান ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্স ও ইসলামিক সেন্টার’ প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন। বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ডা, খিজির হায়াত খান; ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য মাওলানা সালমান; ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা, অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডা. খিজির হায়াত খান বলেন, ইসলাম শুধু পারলৌকিক কল্যাণই করে না, ইহলৌকিক কল্যাণও ইসলামের মধ্যে নিহিত রয়েছে। আর-রহমান ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ইসলামের সামগ্রিকতা প্রতিভাত হয়। বর্তমানে সামাজিক যেসব অবক্ষয় ঘটছে, আর-রহমান ফাউন্ডেশন ও এর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ দাওয়াহ কার্যক্রমের মাধ্যমে তা দূরীকরণে ভূমিকা পালন করছেন।
ফাউন্ডেশনের সদস্য মাওলানা সালমান বলেন, বর্তমান সময়ে আর-রহমান ফাউন্ডেশন সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। যেসব ক্ষেত্রে আমাদের পদচারণা ছিল না কিন্তু পদচারণা থাকা উচিত ছিল, আর-রহমানফাউন্ডেশন সেসব ক্ষেত্রেও কাজ করছে; ক্রমে আরো এগিয়ে যাচ্ছে। সবার সহযোগিতা ফাউন্ডেশনকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে ইন-শা-আল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, বর্তমান সময়ে যেকোনো কিছুর চেয়ে সৃজনশীল উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। আর-রহমান ফাউন্ডেশন এমনই একটি শক্তিশালী উদ্যোগ। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর অনেক পরিচয় আছে। তিনি একজন আলেম, দা‘য়ী, লেখক, আলোচক—কিন্তু আমার কাছে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন উদ্যোক্তা। তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই জাতির জন্য সবচেয়ে উপকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল পরামর্শ গ্রহণ। এই পর্বে উপস্থিত সদস্য ও ব্যক্তিবর্গ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে উন্মুক্ত মন্তব্য করেন ও পরামর্শ দেন। পরামর্শ পর্ব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজে পরিচালনা করেন।
পরামর্শ পর্বে অন্যান্যের মধ্যে কথা বলেন, ডা. জাহাঙ্গীর কবির, মাসজিদুত তাকওয়া ধানমণ্ডির খতীব মুফতী সাইফুল ইসলাম, মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্সের খতীব শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
পরামর্শ পর্বে সারাদেশে মকতব প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও নাশীদশিল্পী মাসুদ হাশমী। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন প্রতিটি জেলায় একটা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন। রাহবার মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও ধানমণ্ডি তাওয়া মসজিদের খতীব মুফতী সাইফুল ইসলাম আর-রহমান ফাউন্ডেশনকে ফলদায়ক বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করে একে উম্মাহর স্বার্থে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানান। মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্স মিরপুরের খতীব ও বিশিষ্ট আলোচক শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত সবার প্রতি আর-রহমান ফাউন্ডেশনকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করার আহ্বান জানান। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির ফাউন্ডেশনকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা কামনা করেন।
আজীবন ও দাতা সদস্য সম্মেলনে সদসগণসহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার, এশিয়ান ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর মানজুর মাহমুদ, বিশিষ্ট আলোচক ড. আবুল কালাম আযাদ বাশার, মাওলানা ফখরুদ্দীন, মালিবাগ মাদরাসার নায়েবে মুফতী আবদুল্লাহ মাসুম, শায়খ হুসাইন মাদানী, টিভি উপস্থাপন মুফতী হেদায়েতুল্লাহ, মুফতী মুস্তাফীজ রাহমানী, হাফেজ মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, দৈনিক নয়া শতাব্দীর সহসম্পাদক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, বিশিষ্ট আলোচক ও কলামিস্ট মাওলানা যুবায়ের আহমদ, টিভি উপস্থাপক মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ, মাওলানা সাইমুম সাদী, মাওলানা আবদুল গাফফার, বিশিষ্ট আলোচক মুফতী মুহাম্মাদ আলী প্রমুখ।
আলহামদু লিল্লাহ গত ৭ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি. মেতাবেক ১৫ রমযান ১৪৪ হি. প্রথমবারের মতো আর-রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন ও দাতা সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর-রহমান ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘আজীবন সদস্য’ ও ‘দাতা সদস্য’ নামে দুই ধরনের সদস্য রয়েছেন। ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাদকায়ে জারিয়াহমূলক প্রকল্পে এককালীন এক লক্ষ টাকা দান করে আজীবন সদস্য এবং ৫০ হাজার টাকা দান করে দাতা সদস্য হওয়া যায়। ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজন অনুযায়ী আজীবন ও দাতা সদস্যদের পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং সময়ে সময়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। আজীবন ও দাতা সদস্যগণ আমৃত্যু সদস্য থাকবেন।
বাড্ডার সাতারকুলে অবস্থিত মাদরাসাতুস সুন্নাহ সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলী ও আজীবন ও দাতা সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ হামদ-নাত ও ফাউন্ডেশনের থিমসং পরিবেশেন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা-পর্বের সূচনা হয়। আলোচনা-পর্বের মাঝখানে আর-রহমান ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। একটি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত কার্যক্রম সম্পর্কে, আরেকটি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আর-রহমান স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে।
অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ যাবৎকালের কার্যক্রম সম্পর্কে বর্ণনা দেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এভাবে ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার আহ্বান জানান। বিশেষভাবে তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘আর-রহমান ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্স ও ইসলামিক সেন্টার’ প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন। বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ডা, খিজির হায়াত খান; ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য মাওলানা সালমান; ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা, অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডা. খিজির হায়াত খান বলেন, ইসলাম শুধু পারলৌকিক কল্যাণই করে না, ইহলৌকিক কল্যাণও ইসলামের মধ্যে নিহিত রয়েছে। আর-রহমান ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ইসলামের সামগ্রিকতা প্রতিভাত হয়। বর্তমানে সামাজিক যেসব অবক্ষয় ঘটছে, আর-রহমান ফাউন্ডেশন ও এর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ দাওয়াহ কার্যক্রমের মাধ্যমে তা দূরীকরণে ভূমিকা পালন করছেন।
ফাউন্ডেশনের সদস্য মাওলানা সালমান বলেন, বর্তমান সময়ে আর-রহমান ফাউন্ডেশন সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। যেসব ক্ষেত্রে আমাদের পদচারণা ছিল না কিন্তু পদচারণা থাকা উচিত ছিল, আর-রহমানফাউন্ডেশন সেসব ক্ষেত্রেও কাজ করছে; ক্রমে আরো এগিয়ে যাচ্ছে। সবার সহযোগিতা ফাউন্ডেশনকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে ইন-শা-আল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, বর্তমান সময়ে যেকোনো কিছুর চেয়ে সৃজনশীল উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। আর-রহমান ফাউন্ডেশন এমনই একটি শক্তিশালী উদ্যোগ। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর অনেক পরিচয় আছে। তিনি একজন আলেম, দা‘য়ী, লেখক, আলোচক—কিন্তু আমার কাছে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন উদ্যোক্তা। তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই জাতির জন্য সবচেয়ে উপকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল পরামর্শ গ্রহণ। এই পর্বে উপস্থিত সদস্য ও ব্যক্তিবর্গ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে উন্মুক্ত মন্তব্য করেন ও পরামর্শ দেন। পরামর্শ পর্ব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজে পরিচালনা করেন।
পরামর্শ পর্বে অন্যান্যের মধ্যে কথা বলেন, ডা. জাহাঙ্গীর কবির, মাসজিদুত তাকওয়া ধানমণ্ডির খতীব মুফতী সাইফুল ইসলাম, মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্সের খতীব শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
পরামর্শ পর্বে সারাদেশে মকতব প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও নাশীদশিল্পী মাসুদ হাশমী। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন প্রতিটি জেলায় একটা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন। রাহবার মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও ধানমণ্ডি তাওয়া মসজিদের খতীব মুফতী সাইফুল ইসলাম আর-রহমান ফাউন্ডেশনকে ফলদায়ক বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করে একে উম্মাহর স্বার্থে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানান। মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্স মিরপুরের খতীব ও বিশিষ্ট আলোচক শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত সবার প্রতি আর-রহমান ফাউন্ডেশনকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করার আহ্বান জানান। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির ফাউন্ডেশনকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা কামনা করেন।
আজীবন ও দাতা সদস্য সম্মেলনে সদসগণসহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার, এশিয়ান ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর মানজুর মাহমুদ, বিশিষ্ট আলোচক ড. আবুল কালাম আযাদ বাশার, মাওলানা ফখরুদ্দীন, মালিবাগ মাদরাসার নায়েবে মুফতী আবদুল্লাহ মাসুম, শায়খ হুসাইন মাদানী, টিভি উপস্থাপন মুফতী হেদায়েতুল্লাহ, মুফতী মুস্তাফীজ রাহমানী, হাফেজ মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, দৈনিক নয়া শতাব্দীর সহসম্পাদক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, বিশিষ্ট আলোচক ও কলামিস্ট মাওলানা যুবায়ের আহমদ, টিভি উপস্থাপক মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ, মাওলানা সাইমুম সাদী, মাওলানা আবদুল গাফফার, বিশিষ্ট আলোচক মুফতী মুহাম্মাদ আলী প্রমুখ।
আলহামদু লিল্লাহ গত ৭ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি. মেতাবেক ১৫ রমযান ১৪৪ হি. প্রথমবারের মতো আর-রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন ও দাতা সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর-রহমান ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘আজীবন সদস্য’ ও ‘দাতা সদস্য’ নামে দুই ধরনের সদস্য রয়েছেন। ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাদকায়ে জারিয়াহমূলক প্রকল্পে এককালীন এক লক্ষ টাকা দান করে আজীবন সদস্য এবং ৫০ হাজার টাকা দান করে দাতা সদস্য হওয়া যায়। ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজন অনুযায়ী আজীবন ও দাতা সদস্যদের পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং সময়ে সময়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। আজীবন ও দাতা সদস্যগণ আমৃত্যু সদস্য থাকবেন।
বাড্ডার সাতারকুলে অবস্থিত মাদরাসাতুস সুন্নাহ সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলী ও আজীবন ও দাতা সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ হামদ-নাত ও ফাউন্ডেশনের থিমসং পরিবেশেন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা-পর্বের সূচনা হয়। আলোচনা-পর্বের মাঝখানে আর-রহমান ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। একটি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত কার্যক্রম সম্পর্কে, আরেকটি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আর-রহমান স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে।
অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ যাবৎকালের কার্যক্রম সম্পর্কে বর্ণনা দেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এভাবে ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার আহ্বান জানান। বিশেষভাবে তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘আর-রহমান ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্স ও ইসলামিক সেন্টার’ প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন। বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ডা, খিজির হায়াত খান; ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য মাওলানা সালমান; ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা, অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডা. খিজির হায়াত খান বলেন, ইসলাম শুধু পারলৌকিক কল্যাণই করে না, ইহলৌকিক কল্যাণও ইসলামের মধ্যে নিহিত রয়েছে। আর-রহমান ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ইসলামের সামগ্রিকতা প্রতিভাত হয়। বর্তমানে সামাজিক যেসব অবক্ষয় ঘটছে, আর-রহমান ফাউন্ডেশন ও এর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ দাওয়াহ কার্যক্রমের মাধ্যমে তা দূরীকরণে ভূমিকা পালন করছেন।
ফাউন্ডেশনের সদস্য মাওলানা সালমান বলেন, বর্তমান সময়ে আর-রহমান ফাউন্ডেশন সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। যেসব ক্ষেত্রে আমাদের পদচারণা ছিল না কিন্তু পদচারণা থাকা উচিত ছিল, আর-রহমানফাউন্ডেশন সেসব ক্ষেত্রেও কাজ করছে; ক্রমে আরো এগিয়ে যাচ্ছে। সবার সহযোগিতা ফাউন্ডেশনকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে ইন-শা-আল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, বর্তমান সময়ে যেকোনো কিছুর চেয়ে সৃজনশীল উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। আর-রহমান ফাউন্ডেশন এমনই একটি শক্তিশালী উদ্যোগ। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর অনেক পরিচয় আছে। তিনি একজন আলেম, দা‘য়ী, লেখক, আলোচক—কিন্তু আমার কাছে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন উদ্যোক্তা। তিনি আর-রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই জাতির জন্য সবচেয়ে উপকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল পরামর্শ গ্রহণ। এই পর্বে উপস্থিত সদস্য ও ব্যক্তিবর্গ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে উন্মুক্ত মন্তব্য করেন ও পরামর্শ দেন। পরামর্শ পর্ব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজে পরিচালনা করেন।
পরামর্শ পর্বে অন্যান্যের মধ্যে কথা বলেন, ডা. জাহাঙ্গীর কবির, মাসজিদুত তাকওয়া ধানমণ্ডির খতীব মুফতী সাইফুল ইসলাম, মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্সের খতীব শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
পরামর্শ পর্বে সারাদেশে মকতব প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও নাশীদশিল্পী মাসুদ হাশমী। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন প্রতিটি জেলায় একটা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন। রাহবার মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও ধানমণ্ডি তাওয়া মসজিদের খতীব মুফতী সাইফুল ইসলাম আর-রহমান ফাউন্ডেশনকে ফলদায়ক বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করে একে উম্মাহর স্বার্থে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানান। মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্স মিরপুরের খতীব ও বিশিষ্ট আলোচক শায়খ আবদুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত সবার প্রতি আর-রহমান ফাউন্ডেশনকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করার আহ্বান জানান। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির ফাউন্ডেশনকে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করে কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা কামনা করেন।
আজীবন ও দাতা সদস্য সম্মেলনে সদসগণসহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার, এশিয়ান ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর মানজুর মাহমুদ, বিশিষ্ট আলোচক ড. আবুল কালাম আযাদ বাশার, মাওলানা ফখরুদ্দীন, মালিবাগ মাদরাসার নায়েবে মুফতী আবদুল্লাহ মাসুম, শায়খ হুসাইন মাদানী, টিভি উপস্থাপন মুফতী হেদায়েতুল্লাহ, মুফতী মুস্তাফীজ রাহমানী, হাফেজ মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, দৈনিক নয়া শতাব্দীর সহসম্পাদক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, বিশিষ্ট আলোচক ও কলামিস্ট মাওলানা যুবায়ের আহমদ, টিভি উপস্থাপক মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ, মাওলানা সাইমুম সাদী, মাওলানা আবদুল গাফফার, বিশিষ্ট আলোচক মুফতী মুহাম্মাদ আলী প্রমুখ।